ঢাকা ১০:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
অবৈধ অনুপ্রবেশ করায় পীরগঞ্জ সীমান্তে বিজিবি’র হাতে ৪ জন গ্রেফতার পীরগঞ্জ পৌরসভায় দিনের পরিবর্তে রাতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার সাবেক এমপি সুজনকে কারাগারে প্রেরণ শরীরে শ’শ’ গুলি নি‌য়ে যন্ত্রণায় কাতরা‌চ্ছে লিটন, সরকারী সহায়তা নেই দেশে ফিরলেন মাহমুদুর রহমান শেখ পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, কী সিদ্ধান্ত আসছে? নিউইয়র্কে ড. ইউনূস বাংলাদেশের নতুন যাত্রায় মার্কিন ব্যবসায়ীদের অংশীদারিত্ব চাই ফিং ফিসার রেষ্টুরেন্টের সেফটি ট্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ উদ্ধার সাইবার মামলায় গ্রেপ্তার না করতে বলা হয়েছে : নাহিদ ইসলাম

গুলশানে দুই নারী খুন হয়েছেন

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক:: রাজধানীর গুলশানের কালাচাঁদপুরে গতকাল মঙ্গলবার নিজ বাসায় গারো সম্প্রদায়ের দুই নারী খুন হয়েছেন।

নিহত দুই নারী হলেন সুজাত চিয়ান (৪০) ও তাঁর মা বেশথ চিয়ান (৬৫)।

সুজাত তাঁর মা, তিন মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে (ক) ৫৮/২ কালাচাঁদপুরের ছয়তলা বাড়ির চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকতেন।

গতকাল সন্ধ্যার পর বাড়ির মালিকের কাছ থেকে খবর পেয়ে গুলশান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। রাত ১১টার দিকে তারা লাশ দুটি উদ্ধার করে। সুরতহালের পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

পুলিশ বলছে, সুজাতের গলাকাটা মরদেহ ঘরের একটি খাটের ওপর থেকে এবং তাঁর মা বেশথের মরদেহ পাশের শোয়ার ঘরের খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়।

সূত্র বলেছে, সুজাতের বড় মেয়ে মায়াবীর স্বামী পিলেস্তা সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ওই বাসায় আসেন। সে সময় তিনি দরজা বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। পরে ভেতরে ঢুকে তিনি সুজাত ও তাঁর মা বেশথ চিয়ানের মরদেহ দেখতে পান। তিনি বিষয়টি বাড়ির মালিককে জানান। বাড়ির মালিক গুলশান থানায় ফোন দিয়ে পুলিশকে খবর দেন।

গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাহ উদ্দিন বলেন, বাড়ির নিচতলায় থাকা ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বিকেল চারটার দিকে সুজাতের বোনের ছেলে সঞ্জীব চার ব্যক্তিসহ বাসায় এসেছিলেন। তাঁরা বেরিয়ে যাওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে মা-মেয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনার এস এম মোশতাক আহমেদ খান বলেন, সুজাতকে গলা কেটে এবং তাঁর মাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে খুনের প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে।

সুজাতের তিন মেয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। ঘটনার সময় তাঁরা নিজ নিজ কর্মস্থলে ছিলেন। সুজাতের স্বামী হাশিস মানচিনও সে সময় নিজ কর্মস্থলে ছিলেন বলে জানান। সুজাতের একমাত্র ছেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে নিজ গ্রামে থাকেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

অবৈধ অনুপ্রবেশ করায় পীরগঞ্জ সীমান্তে বিজিবি’র হাতে ৪ জন গ্রেফতার

গুলশানে দুই নারী খুন হয়েছেন

আপডেট টাইম ০৯:৪৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মার্চ ২০১৮

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক:: রাজধানীর গুলশানের কালাচাঁদপুরে গতকাল মঙ্গলবার নিজ বাসায় গারো সম্প্রদায়ের দুই নারী খুন হয়েছেন।

নিহত দুই নারী হলেন সুজাত চিয়ান (৪০) ও তাঁর মা বেশথ চিয়ান (৬৫)।

সুজাত তাঁর মা, তিন মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে (ক) ৫৮/২ কালাচাঁদপুরের ছয়তলা বাড়ির চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকতেন।

গতকাল সন্ধ্যার পর বাড়ির মালিকের কাছ থেকে খবর পেয়ে গুলশান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। রাত ১১টার দিকে তারা লাশ দুটি উদ্ধার করে। সুরতহালের পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

পুলিশ বলছে, সুজাতের গলাকাটা মরদেহ ঘরের একটি খাটের ওপর থেকে এবং তাঁর মা বেশথের মরদেহ পাশের শোয়ার ঘরের খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়।

সূত্র বলেছে, সুজাতের বড় মেয়ে মায়াবীর স্বামী পিলেস্তা সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ওই বাসায় আসেন। সে সময় তিনি দরজা বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। পরে ভেতরে ঢুকে তিনি সুজাত ও তাঁর মা বেশথ চিয়ানের মরদেহ দেখতে পান। তিনি বিষয়টি বাড়ির মালিককে জানান। বাড়ির মালিক গুলশান থানায় ফোন দিয়ে পুলিশকে খবর দেন।

গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাহ উদ্দিন বলেন, বাড়ির নিচতলায় থাকা ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বিকেল চারটার দিকে সুজাতের বোনের ছেলে সঞ্জীব চার ব্যক্তিসহ বাসায় এসেছিলেন। তাঁরা বেরিয়ে যাওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে মা-মেয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনার এস এম মোশতাক আহমেদ খান বলেন, সুজাতকে গলা কেটে এবং তাঁর মাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে খুনের প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে।

সুজাতের তিন মেয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। ঘটনার সময় তাঁরা নিজ নিজ কর্মস্থলে ছিলেন। সুজাতের স্বামী হাশিস মানচিনও সে সময় নিজ কর্মস্থলে ছিলেন বলে জানান। সুজাতের একমাত্র ছেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে নিজ গ্রামে থাকেন।