ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশি মিডিয়া কী বলছে? দিল্লিতে মুখপাত্রের ব্রিফিং, মমতার মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া, বাংলাদেশে দ্রুত শান্তির প্রত্যাশা কবে ট্রেন চলবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি : রেলের ডিজি বাংলাদেশ ব্যাংকের হ্যাক হওয়া ওয়েবসাইট উদ্ধার হয়েছে গুলিতে নিহিত আবু সাঈদের জন্য কাদছে পীরগঞ্জের মানুষ নিহত-আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের দাবি সিপিবি’র আন্দালিব রহমান পার্থকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ এখনই খুলছে না স্কুল-কলেজ, মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়াল! জারি থাকছে কার্ফু, ধৃত ১৭৫৮ আগামীতে আইসিটি সেক্টরে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে ………….ঠাকুরগাঁওয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পীরগঞ্জে বিদায় সংবর্ধনা ও দায়িত্বভার গ্রহণ শেখ সমশের আলী

গুলশানে দুই নারী খুন হয়েছেন

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক:: রাজধানীর গুলশানের কালাচাঁদপুরে গতকাল মঙ্গলবার নিজ বাসায় গারো সম্প্রদায়ের দুই নারী খুন হয়েছেন।

নিহত দুই নারী হলেন সুজাত চিয়ান (৪০) ও তাঁর মা বেশথ চিয়ান (৬৫)।

সুজাত তাঁর মা, তিন মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে (ক) ৫৮/২ কালাচাঁদপুরের ছয়তলা বাড়ির চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকতেন।

গতকাল সন্ধ্যার পর বাড়ির মালিকের কাছ থেকে খবর পেয়ে গুলশান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। রাত ১১টার দিকে তারা লাশ দুটি উদ্ধার করে। সুরতহালের পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

পুলিশ বলছে, সুজাতের গলাকাটা মরদেহ ঘরের একটি খাটের ওপর থেকে এবং তাঁর মা বেশথের মরদেহ পাশের শোয়ার ঘরের খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়।

সূত্র বলেছে, সুজাতের বড় মেয়ে মায়াবীর স্বামী পিলেস্তা সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ওই বাসায় আসেন। সে সময় তিনি দরজা বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। পরে ভেতরে ঢুকে তিনি সুজাত ও তাঁর মা বেশথ চিয়ানের মরদেহ দেখতে পান। তিনি বিষয়টি বাড়ির মালিককে জানান। বাড়ির মালিক গুলশান থানায় ফোন দিয়ে পুলিশকে খবর দেন।

গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাহ উদ্দিন বলেন, বাড়ির নিচতলায় থাকা ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বিকেল চারটার দিকে সুজাতের বোনের ছেলে সঞ্জীব চার ব্যক্তিসহ বাসায় এসেছিলেন। তাঁরা বেরিয়ে যাওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে মা-মেয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনার এস এম মোশতাক আহমেদ খান বলেন, সুজাতকে গলা কেটে এবং তাঁর মাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে খুনের প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে।

সুজাতের তিন মেয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। ঘটনার সময় তাঁরা নিজ নিজ কর্মস্থলে ছিলেন। সুজাতের স্বামী হাশিস মানচিনও সে সময় নিজ কর্মস্থলে ছিলেন বলে জানান। সুজাতের একমাত্র ছেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে নিজ গ্রামে থাকেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশি মিডিয়া কী বলছে?

গুলশানে দুই নারী খুন হয়েছেন

আপডেট টাইম ০৯:৪৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মার্চ ২০১৮

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক:: রাজধানীর গুলশানের কালাচাঁদপুরে গতকাল মঙ্গলবার নিজ বাসায় গারো সম্প্রদায়ের দুই নারী খুন হয়েছেন।

নিহত দুই নারী হলেন সুজাত চিয়ান (৪০) ও তাঁর মা বেশথ চিয়ান (৬৫)।

সুজাত তাঁর মা, তিন মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে (ক) ৫৮/২ কালাচাঁদপুরের ছয়তলা বাড়ির চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকতেন।

গতকাল সন্ধ্যার পর বাড়ির মালিকের কাছ থেকে খবর পেয়ে গুলশান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। রাত ১১টার দিকে তারা লাশ দুটি উদ্ধার করে। সুরতহালের পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

পুলিশ বলছে, সুজাতের গলাকাটা মরদেহ ঘরের একটি খাটের ওপর থেকে এবং তাঁর মা বেশথের মরদেহ পাশের শোয়ার ঘরের খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়।

সূত্র বলেছে, সুজাতের বড় মেয়ে মায়াবীর স্বামী পিলেস্তা সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ওই বাসায় আসেন। সে সময় তিনি দরজা বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। পরে ভেতরে ঢুকে তিনি সুজাত ও তাঁর মা বেশথ চিয়ানের মরদেহ দেখতে পান। তিনি বিষয়টি বাড়ির মালিককে জানান। বাড়ির মালিক গুলশান থানায় ফোন দিয়ে পুলিশকে খবর দেন।

গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাহ উদ্দিন বলেন, বাড়ির নিচতলায় থাকা ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বিকেল চারটার দিকে সুজাতের বোনের ছেলে সঞ্জীব চার ব্যক্তিসহ বাসায় এসেছিলেন। তাঁরা বেরিয়ে যাওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে মা-মেয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনার এস এম মোশতাক আহমেদ খান বলেন, সুজাতকে গলা কেটে এবং তাঁর মাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে খুনের প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে।

সুজাতের তিন মেয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। ঘটনার সময় তাঁরা নিজ নিজ কর্মস্থলে ছিলেন। সুজাতের স্বামী হাশিস মানচিনও সে সময় নিজ কর্মস্থলে ছিলেন বলে জানান। সুজাতের একমাত্র ছেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে নিজ গ্রামে থাকেন।