ঢাকা ০৮:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রানিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ২ দিনের প্রশিক্ষন সম্পন্ন পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯ ডাক্তারের পদ শূন্য, দায়িত্বরত ৩ জন ৪ বিঘা জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিবাদ ১৫ বছর ধরে : সংঘর্ষে আহত অর্ধশত, ১৪৪ ধারা জারি গাজায় গনহত্যার প্রতিবাদে ঠাকুরগায়ের পীরগঞ্জে আল-হাসানার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন প্রতিবাদসভা আওয়ামীপন্থি ৯৩ আইনজীবীর আদালতে আত্মসমর্পণ, জামিন আবেদন আনন্দবাজারের প্রতিবেদন, ঢাকার প্রস্তাব দ্বিধায় দিল্লি সত্যের মুখোমুখি আসিফ নজরুল পীরগঞ্জে মাস ব্যাপী হস্ত কুটির শিল্প মেলার উদ্বোধন পীরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক প্রতিবেদন সংখ্যালঘুদের দমিয়ে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা

কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে

মোসলিমা খাতুন,সারাদিন ডেস্ক:: কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিতে শেরপুর ও মেহেরপুর জেলার বেশ কিছু অঞ্চল বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়েছে। কালবৈশাখীতে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়েছে।

আজ শনিবার ভোরে শেরপুর জেলা সদরের ওপর দিয়ে প্রবল বেগে কালবৈশাখী বয়ে যায় এবং ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়। ঝড়ে অনেক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। এতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা জানান, ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির বোরো, ২৫০ হেক্টর জমির সবজি ও ২০ হেক্টর জমির ভুট্টা আবাদ আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছেন। প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ দুই-তিন দিন পরে জানা যাবে।

সদর উপজেলার কুঠুরাকান্দা গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আবুল কাশেম বলেন, শিলাবৃষ্টিতে তাঁর দুই একর বোরো আবাদ আক্রান্ত হয়েছে। জমির অর্ধেক ফসল নষ্ট হয়ে যাবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, শেরপুরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মেহেদী হাসান সুমন বলেন, ‘ঝড়ে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়ায় বর্তমানে শেরপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিদ্যুৎ লাইন চালুর জন্য আমাদের কর্মীরা কাজ করছেন।’

মেহেরপুরের গাংনীতে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ফসল এবং ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ও রাতে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে দেখা গেছে, শিলাবৃষ্টিতে গাংনী উপজেলার কাজীপুর, মটমুড়া, মহাম্মদপুর, আকুবপুর, হোগলবাড়িয়া, হাট বামন্দী, বাওট, ছাতিয়ান, বাদিয়াপাড়া মহব্বতপুর, কামারখালী, ভবানীপুর, পীরতলা, বালিয়াঘাটসহ অনেক এলাকায় ক্ষতি হয়েছে।

বামুন্দি এলাকার হারেজ শেখ বলেন, শিলাবৃষ্টির কবলে তার চার বিঘা আমবাগানের আম ঝরে গেছে।

মটমুড়া গ্রামের লিয়াকত মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর এক বিঘা জমিতে গম ছিল। শিলাবৃষ্টিতে সব নষ্ট হয়ে গেছে। বাড়ির টিন ফুটো হয়ে শিল ঘরের ভেতরে পড়েছে।

গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে এম সাহাবদ্দিন বলেন, মাঠপর্যায়ে উপসহকারী কর্মকর্তা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চলছেন। এবারের শিলাবৃষ্টিতে আমসহ উঠতি ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিষ্ণুপদ পাল বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সাহায্য-সহযোগিতার জন্য বলা হয়েছে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রানিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ২ দিনের প্রশিক্ষন সম্পন্ন

কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে

আপডেট টাইম ০৮:০৩:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মার্চ ২০১৮

মোসলিমা খাতুন,সারাদিন ডেস্ক:: কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিতে শেরপুর ও মেহেরপুর জেলার বেশ কিছু অঞ্চল বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়েছে। কালবৈশাখীতে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়েছে।

আজ শনিবার ভোরে শেরপুর জেলা সদরের ওপর দিয়ে প্রবল বেগে কালবৈশাখী বয়ে যায় এবং ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়। ঝড়ে অনেক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। এতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা জানান, ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির বোরো, ২৫০ হেক্টর জমির সবজি ও ২০ হেক্টর জমির ভুট্টা আবাদ আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছেন। প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ দুই-তিন দিন পরে জানা যাবে।

সদর উপজেলার কুঠুরাকান্দা গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আবুল কাশেম বলেন, শিলাবৃষ্টিতে তাঁর দুই একর বোরো আবাদ আক্রান্ত হয়েছে। জমির অর্ধেক ফসল নষ্ট হয়ে যাবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, শেরপুরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মেহেদী হাসান সুমন বলেন, ‘ঝড়ে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়ায় বর্তমানে শেরপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিদ্যুৎ লাইন চালুর জন্য আমাদের কর্মীরা কাজ করছেন।’

মেহেরপুরের গাংনীতে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ফসল এবং ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ও রাতে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে দেখা গেছে, শিলাবৃষ্টিতে গাংনী উপজেলার কাজীপুর, মটমুড়া, মহাম্মদপুর, আকুবপুর, হোগলবাড়িয়া, হাট বামন্দী, বাওট, ছাতিয়ান, বাদিয়াপাড়া মহব্বতপুর, কামারখালী, ভবানীপুর, পীরতলা, বালিয়াঘাটসহ অনেক এলাকায় ক্ষতি হয়েছে।

বামুন্দি এলাকার হারেজ শেখ বলেন, শিলাবৃষ্টির কবলে তার চার বিঘা আমবাগানের আম ঝরে গেছে।

মটমুড়া গ্রামের লিয়াকত মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর এক বিঘা জমিতে গম ছিল। শিলাবৃষ্টিতে সব নষ্ট হয়ে গেছে। বাড়ির টিন ফুটো হয়ে শিল ঘরের ভেতরে পড়েছে।

গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে এম সাহাবদ্দিন বলেন, মাঠপর্যায়ে উপসহকারী কর্মকর্তা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চলছেন। এবারের শিলাবৃষ্টিতে আমসহ উঠতি ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিষ্ণুপদ পাল বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সাহায্য-সহযোগিতার জন্য বলা হয়েছে।