ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

সুপ্রিমকোর্টের ক্ষমতা খর্ব করা হয়নি বরং বেড়েছে: আইনমন্ত্রী

আজম রেহমান::আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘সবার চাহিদা অনুযায়ী অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃংখলাবিধি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সুপ্রিমকোর্টের ক্ষমতা খর্ব করা হয়নি বরং বাড়ানো হয়েছে।’

১২ ডিসেম্বর সচিবালয়ের আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সোমবার নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃংখলা বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

এ বিধিমালা অনুযায়ী অধস্তন বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের শৃংখলা সংক্রান্ত বিষয়গুলো উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হবে।

গেজেটে ‘উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ’ অর্থ রাষ্ট্রপতি বা তৎকর্তৃক সংবিধানের ৫৫(৬) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রণীত রুলস অব বিজনেস-এর আওতায় সার্ভিস প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে বোঝানো হয়েছে।

অধস্তন আদালতের শৃংখলাবিধি নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার এর জবাব দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘উচ্চ আদালতের সঙ্গে আলাপ-আলাচনা করেই এটা (বিধিমালা) করেছি। সুপ্রিম কোর্টও বলবে না যে, ইয়ে করা হয়নি। আপিল বিভাগের সব বিচারপতির সঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারা যখন এটা অ্যাপ্রুভ করেছেন, তখন আমরা এগ্রি করেছি।’

তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে পরিষ্কার করে বলা আছে, এই ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে থাকবে। তিনি সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে আচরণ বিধি তৈরি করবেন। তিনি সব ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। আমরা যে আচরণ বিধি করেছি সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদকে শিরোধার্য মনে করে সেটাকে রক্ষা করার জন্য যা যা করণীয় এখানে করেছি। এখানে রুল-২৯ এ পরিষ্কার করে বলা আছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সংবিধান অনুযায়ী কাজ করব, পরিষ্কার কথা। আমার এখন পর্যন্ত মনে হয় না যে সংবিধানের বাইরে আমরা কোনো কাজ করছি।’

‘জুডিশিয়ারির জন্য যেখানে স্পেশাল প্রভিশন রাখার দরকার সেখানে রুল করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমার মনে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কোথাও ক্ষুণ্ন করা হয়নি বরং একটু বাড়ানো হয়েছে।’

বিএনপি বলছে, বিধিমালায় বিচারকদের পদোন্নতি ও বদলির বিষয় এমনভাবে রাখা হয়েছে যে তারা স্বাধীনভাবে বিচার করতে পারবেন না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘আশঙ্কা নেই। সংবিধানে বলা আছে রাষ্ট্রপতি যখন জুডিশিয়ারির ব্যাপারে কোনো কাজ করেন তিনি আইন মন্ত্রণালয়টাকে তার সেক্রেটারিয়েট হিসেবে ব্যবহার করেন। সেই ক্ষেত্রে আমরা তার কাছে নথি চালাচালির জন্য একটা অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হই।’

‘সেই ক্ষেত্রে কিন্তু পরামর্শের কথা বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ। যেখানে রাষ্ট্রপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের মধ্যে ভিন্নতা থাকবে, সেই ভিন্নতা থাকলে সুপ্রিম কোর্টের যে পরামর্শ সেটা প্রাধান্য পাবে। সেই ক্ষেত্রে আমরা তো সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা খর্ব করিনি। সব থেকে বড় কথা হচ্ছে আমরা সব সময়ই বাংলাদেশ সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ আমাদের গাইডলাইন হিসেবে গ্রহণ করেছি। তার কারণ হচ্ছে বলাই আছে বাংলাদেশের সংবিধান হচ্ছে সর্বোচ্চ আইন।’

তবে বিধিমালা নিয়ে কেন সমালোচনা হচ্ছে, জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘শোনেন, তারা কেন (সমালোচনা) করছেন, দুই-তিনটা জিনিস তাদের। সেটা হচ্ছে তারা বুঝুক আর না বুঝুক সমালোচনার জন্য তাদের সমালোচনা করতে হবে। তাদের যে ওয়াইডার পরিকল্পনা ছিল তা অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। এখন খড়কুটো ধরে তারা সমালোচনা করছেন।’

‘তাদেরকে আমি এটুকুই বলব- দ্যাখেন, কনস্ট্রাকটিভ ক্রিটিসিজম (গঠনমূলক সমালোচনা) গ্রহণ করতে আমাদের কোনো আপত্তি নাই। কনস্ট্রাকটিভ ক্রিটিসিমজ গ্রহণ করার জন্য উনাদেরকে পড়াশোনা করতে হবে। আমি উনাদেরকে বলব আপনারা সংবিধান দ্যাখেন।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আরেকটা কথা পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই- উনাদের ইচ্ছা মত, উনারা যে রকম ১৯৭৫ সাল থেকে শুরু করে ৯৬ সাল পর্যন্ত কনস্টিটিউশন (সংবিধান) নিয়ে ফুটবল খেলেছেন, আমরা এই কনস্টিটিউশনকে নিয়ে আর ফুটবল খেলতে দিব না।’

প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে বিচারিক আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃংখলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।

গত বছরের ২৮ আগস্ট শুনানিতে আপিল বিভাগ জানায়, শৃংখলা বিধিমালাসংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ, যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থি।

এর পরই সুপ্রিমকোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। একইসঙ্গে ওই বছরের ৬ নভেম্বরের মধ্যে তা প্রণয়ন করে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে অবহিত করতে নির্দেশ দেয়।

কিন্তু এ নিয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে তৎকালীন প্রধান বিচারপতির কয়েক দফা বৈঠক হয়। একপর্যায়ে মন্ত্রণালয় একটি খসড়া করলে সেটিতে প্রধান বিচারপতি আপত্তি জানান।

এরপর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি খসড়া শৃংখলাবিধি তৈরি করে সুপ্রিমকোর্টে পাঠানো হয়। কিন্তু তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে না হওয়ায় সুপ্রিমকোর্ট কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি গঠন করে আলাদা একটি শৃংখলাবিধি তৈরি করেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

সুপ্রিমকোর্টের ক্ষমতা খর্ব করা হয়নি বরং বেড়েছে: আইনমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০২:৩৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭

আজম রেহমান::আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘সবার চাহিদা অনুযায়ী অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃংখলাবিধি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সুপ্রিমকোর্টের ক্ষমতা খর্ব করা হয়নি বরং বাড়ানো হয়েছে।’

১২ ডিসেম্বর সচিবালয়ের আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সোমবার নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃংখলা বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

এ বিধিমালা অনুযায়ী অধস্তন বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের শৃংখলা সংক্রান্ত বিষয়গুলো উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হবে।

গেজেটে ‘উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ’ অর্থ রাষ্ট্রপতি বা তৎকর্তৃক সংবিধানের ৫৫(৬) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রণীত রুলস অব বিজনেস-এর আওতায় সার্ভিস প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে বোঝানো হয়েছে।

অধস্তন আদালতের শৃংখলাবিধি নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার এর জবাব দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘উচ্চ আদালতের সঙ্গে আলাপ-আলাচনা করেই এটা (বিধিমালা) করেছি। সুপ্রিম কোর্টও বলবে না যে, ইয়ে করা হয়নি। আপিল বিভাগের সব বিচারপতির সঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারা যখন এটা অ্যাপ্রুভ করেছেন, তখন আমরা এগ্রি করেছি।’

তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে পরিষ্কার করে বলা আছে, এই ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে থাকবে। তিনি সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে আচরণ বিধি তৈরি করবেন। তিনি সব ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। আমরা যে আচরণ বিধি করেছি সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদকে শিরোধার্য মনে করে সেটাকে রক্ষা করার জন্য যা যা করণীয় এখানে করেছি। এখানে রুল-২৯ এ পরিষ্কার করে বলা আছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সংবিধান অনুযায়ী কাজ করব, পরিষ্কার কথা। আমার এখন পর্যন্ত মনে হয় না যে সংবিধানের বাইরে আমরা কোনো কাজ করছি।’

‘জুডিশিয়ারির জন্য যেখানে স্পেশাল প্রভিশন রাখার দরকার সেখানে রুল করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমার মনে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কোথাও ক্ষুণ্ন করা হয়নি বরং একটু বাড়ানো হয়েছে।’

বিএনপি বলছে, বিধিমালায় বিচারকদের পদোন্নতি ও বদলির বিষয় এমনভাবে রাখা হয়েছে যে তারা স্বাধীনভাবে বিচার করতে পারবেন না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘আশঙ্কা নেই। সংবিধানে বলা আছে রাষ্ট্রপতি যখন জুডিশিয়ারির ব্যাপারে কোনো কাজ করেন তিনি আইন মন্ত্রণালয়টাকে তার সেক্রেটারিয়েট হিসেবে ব্যবহার করেন। সেই ক্ষেত্রে আমরা তার কাছে নথি চালাচালির জন্য একটা অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হই।’

‘সেই ক্ষেত্রে কিন্তু পরামর্শের কথা বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ। যেখানে রাষ্ট্রপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের মধ্যে ভিন্নতা থাকবে, সেই ভিন্নতা থাকলে সুপ্রিম কোর্টের যে পরামর্শ সেটা প্রাধান্য পাবে। সেই ক্ষেত্রে আমরা তো সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা খর্ব করিনি। সব থেকে বড় কথা হচ্ছে আমরা সব সময়ই বাংলাদেশ সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ আমাদের গাইডলাইন হিসেবে গ্রহণ করেছি। তার কারণ হচ্ছে বলাই আছে বাংলাদেশের সংবিধান হচ্ছে সর্বোচ্চ আইন।’

তবে বিধিমালা নিয়ে কেন সমালোচনা হচ্ছে, জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘শোনেন, তারা কেন (সমালোচনা) করছেন, দুই-তিনটা জিনিস তাদের। সেটা হচ্ছে তারা বুঝুক আর না বুঝুক সমালোচনার জন্য তাদের সমালোচনা করতে হবে। তাদের যে ওয়াইডার পরিকল্পনা ছিল তা অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। এখন খড়কুটো ধরে তারা সমালোচনা করছেন।’

‘তাদেরকে আমি এটুকুই বলব- দ্যাখেন, কনস্ট্রাকটিভ ক্রিটিসিজম (গঠনমূলক সমালোচনা) গ্রহণ করতে আমাদের কোনো আপত্তি নাই। কনস্ট্রাকটিভ ক্রিটিসিমজ গ্রহণ করার জন্য উনাদেরকে পড়াশোনা করতে হবে। আমি উনাদেরকে বলব আপনারা সংবিধান দ্যাখেন।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আরেকটা কথা পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই- উনাদের ইচ্ছা মত, উনারা যে রকম ১৯৭৫ সাল থেকে শুরু করে ৯৬ সাল পর্যন্ত কনস্টিটিউশন (সংবিধান) নিয়ে ফুটবল খেলেছেন, আমরা এই কনস্টিটিউশনকে নিয়ে আর ফুটবল খেলতে দিব না।’

প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে বিচারিক আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃংখলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।

গত বছরের ২৮ আগস্ট শুনানিতে আপিল বিভাগ জানায়, শৃংখলা বিধিমালাসংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ, যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থি।

এর পরই সুপ্রিমকোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। একইসঙ্গে ওই বছরের ৬ নভেম্বরের মধ্যে তা প্রণয়ন করে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে অবহিত করতে নির্দেশ দেয়।

কিন্তু এ নিয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে তৎকালীন প্রধান বিচারপতির কয়েক দফা বৈঠক হয়। একপর্যায়ে মন্ত্রণালয় একটি খসড়া করলে সেটিতে প্রধান বিচারপতি আপত্তি জানান।

এরপর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি খসড়া শৃংখলাবিধি তৈরি করে সুপ্রিমকোর্টে পাঠানো হয়। কিন্তু তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে না হওয়ায় সুপ্রিমকোর্ট কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি গঠন করে আলাদা একটি শৃংখলাবিধি তৈরি করেন।