সারাদিন ডেস্ক:: জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় ১ সাংবাদিককে পেশাগত দায়িত্বপালনে বাধাদান, হয়রানী, গালিগালাজ, আটক করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর গ্রহন সহ নানাভাবে অপদস্ত করার অভিযোগে ১ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ২৩ জুন থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার এজাহার মতে, পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা বিজিবি গত বুধবার ১০ বোতল ফেন্সিডিল সহ স্বাধীন চন্দ্র রায় নামে এক মাদক ব্যবাসয়ীকে আটক করে। পরে বৈরচুনা ইউ’পি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন ঐ মাদক ব্যবসায়ীকে বিজিবি’র কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেয়। বিশ্বস্ত সুত্রে এমন খবর জানতে পেরে গত বৃহস্পতিবার দৈনিক খবর পত্রের ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জ প্রতিনিধি মুনসুর আহম্মেদ ঐ ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট ঘটনা জানতে চাইলে চেয়ারম্যান স্বীকার করেন, ১০ বোতল নয় ১ বোতল ফেন্সিডিল সহ স্বাধীন চন্দ্র করে আটক করে বিজিবি। মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড়ালেন কেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি সাংবাদিকের উপর ক্ষিপ্ত হন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরদিন শুক্রবার সকালে ঐ এলাকায় সড়ক দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ঐ সাংবাদিক বৈরচুনা ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ইউ’পি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে তাকে ঘিরে ফেলে টানা হেচড়া করে সন্ত্রসী কায়দায় তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, মটরসাইকেলের চাবি সহ মূল্যবান তথ্যের কাগজপত্র কেড়ে নেয় এবং হত্যা হুমকি দেন। পরে সাংবাদিক মুনসুর আহম্মেদকে ঐ চেয়ারম্যান জিম্মি করে তার ইউ’পি কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর গ্রহণ করে মোবাইল ফোন, ক্যামেরা ও মটর সাইকেল’র চাবি ফেরত দেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
পরে সাংবাদিক মনসুর বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২২ তাং ২৩.০৬.১৮ইং। ধারা ৩২৩/৩৪২/৪২৭/৫০৬ পেনাল কোড।
উল্লেখ্য যে, ইতিপূর্বে বৈরচুনা এলাকার সংখ্যালঘু অদিবাসীদের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ঐ ইউ’পি চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয় এবং তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দেয় থানা পুলিশ। এতে সাময়িক বরখাস্ত হন তিনি।