ঢাকা ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা আগামীকালও খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন তার আইনজীবীরা।
বুধবার পুরান ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী আবদুর রেজ্জাক খান যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। তবে আজ তা শেষ হয়নি। বিচারক আগামীকালও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে সকালে রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের মাঠে স্থাপিত এ আদালতে উপস্থিত হন বিএনপি নেত্রী। আসামিপক্ষে প্রথম দিনের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হওয়ার পরপরই আদালত প্রাঙ্গণ ছেড়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা।
রেজাক খানের পর বিএনপি নেত্রীর পক্ষে তার আরও তিন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মাহমুদ আলী ও ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারের যুক্তি উপস্থাপন করার কথা রয়েছে। এর আগে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের প্রথম দিন মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তি উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, ‘বিদেশি অনুদানের অর্থ এতিমদের কল্যাণে খরচ না করে আসামিরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে হস্তান্তর, রূপান্তর করেছেন। বছরের পর বছর তারা ওই অর্থ পাচার করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষের ৩২ জন সাক্ষীর কারো জবানবন্দিই আসামিপক্ষ জেরা করে খণ্ডন করতে পারেনি বলে দাবি করেন দুদকের আইনজীবী। দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হলেই ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নয় বছর আগে দুদকের দায়ের করা এ মামলা রায়ের পর্যায়ে আসবে। এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে মোট ৭ দিন বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত ৫ ডিসেম্বর তার সেই বক্তব্য শেষ হলে বিচারক মো. আখতারুজ্জামান যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য ১৯, ২০ ও ২১ ডিসেম্বর দিন রাখেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলা করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৫ অগাস্ট তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দেন। তার ৫ বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ অভিযোগ গঠন করে খালেদাসহ ৬ আসামির বিচার শুরু করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান, মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। খালেদা জিয়া, সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ এ মামলায় জামিনে আছেন। খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান গত নয় বছর ধরে দেশের বাইরে, তার বিরুদ্ধে এ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এ ছাড়া কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা আগামীকালও খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন

আপডেট টাইম ১২:৪১:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন তার আইনজীবীরা।
বুধবার পুরান ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী আবদুর রেজ্জাক খান যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। তবে আজ তা শেষ হয়নি। বিচারক আগামীকালও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে সকালে রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের মাঠে স্থাপিত এ আদালতে উপস্থিত হন বিএনপি নেত্রী। আসামিপক্ষে প্রথম দিনের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হওয়ার পরপরই আদালত প্রাঙ্গণ ছেড়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা।
রেজাক খানের পর বিএনপি নেত্রীর পক্ষে তার আরও তিন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মাহমুদ আলী ও ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারের যুক্তি উপস্থাপন করার কথা রয়েছে। এর আগে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের প্রথম দিন মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তি উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, ‘বিদেশি অনুদানের অর্থ এতিমদের কল্যাণে খরচ না করে আসামিরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে হস্তান্তর, রূপান্তর করেছেন। বছরের পর বছর তারা ওই অর্থ পাচার করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষের ৩২ জন সাক্ষীর কারো জবানবন্দিই আসামিপক্ষ জেরা করে খণ্ডন করতে পারেনি বলে দাবি করেন দুদকের আইনজীবী। দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হলেই ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নয় বছর আগে দুদকের দায়ের করা এ মামলা রায়ের পর্যায়ে আসবে। এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে মোট ৭ দিন বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত ৫ ডিসেম্বর তার সেই বক্তব্য শেষ হলে বিচারক মো. আখতারুজ্জামান যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য ১৯, ২০ ও ২১ ডিসেম্বর দিন রাখেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলা করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৫ অগাস্ট তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দেন। তার ৫ বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ অভিযোগ গঠন করে খালেদাসহ ৬ আসামির বিচার শুরু করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান, মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। খালেদা জিয়া, সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ এ মামলায় জামিনে আছেন। খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান গত নয় বছর ধরে দেশের বাইরে, তার বিরুদ্ধে এ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এ ছাড়া কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।