ঢাকা ০১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

বাগেরহাটে শিশু ধর্ষণ-হত্যা: সৎ বাবার ফাঁসি

বাগেরহাটের শরণখোলায় নয় বছরের এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে আল আমিন হাওলাদার (৩৬) নামে এক ব্যক্তিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। আদালত একইসঙ্গে ফাঁসির দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আল আমিনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে। বুধবার দুপুরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ ও শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এই রায় দেন।
দণ্ডিত আল আমিন শিশু মায়ার সৎ বাবা। রায় ঘোষণার সময় আসামি আল আমিন কাঁঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া আদালত ওই আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
আল আমিন হাওলাদার বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার মঠেরপাড়া গ্রামের ফজলুল হক হাওলাদারের ছেলে। হত্যার শিকার মায়া শরণখোলা উপজেলার সদরের  রায়েন্দা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
মামলার নথির বরাত দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁশুলি (পিপি) সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, ২০১৬ সালে শরণখোলা উপজেলার মঠেরপাড়া গ্রামের আল আমিনের সঙ্গে মায়ার মা পুতুল বেগমের বিয়ে হয়। ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর সকালে আল আমিন তাঁর স্ত্রী পুতুল বেগমকে ফোন করে মুরগি নিতে মেয়েকে বাজারে পাঠাতে বলে। স্বামীর ফোন পেয়ে তিনি একটি ভ্যানে করে মেয়েকে বাজারে তার স্বামীর কাছে পাঠান। এরপর থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর শিশুরটির সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতে পরিবারের লোকজন পুলিশকে জানায়।
শরণখোলা থানা পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে শিশু মায়ার সৎ বাবা আল আমিনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরদিন মঠেরপাড়া গ্রামের জনৈক লিটু মিয়ার ধানক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় ২১ ডিসেম্বর নিহতের নানা কামরুল হাসান দুলাল বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় একটি হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শরণখোলা থানার তৎকালীন উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. আমির হোসেন সৎ বাবা আল আমিনকে অভিযুক্ত করে ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতের বিচারক  ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন। আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ওজিয়ার রহমান পিকলু।
Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

বাগেরহাটে শিশু ধর্ষণ-হত্যা: সৎ বাবার ফাঁসি

আপডেট টাইম ১২:৩৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুলাই ২০১৮
বাগেরহাটের শরণখোলায় নয় বছরের এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে আল আমিন হাওলাদার (৩৬) নামে এক ব্যক্তিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। আদালত একইসঙ্গে ফাঁসির দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আল আমিনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে। বুধবার দুপুরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ ও শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এই রায় দেন।
দণ্ডিত আল আমিন শিশু মায়ার সৎ বাবা। রায় ঘোষণার সময় আসামি আল আমিন কাঁঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া আদালত ওই আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
আল আমিন হাওলাদার বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার মঠেরপাড়া গ্রামের ফজলুল হক হাওলাদারের ছেলে। হত্যার শিকার মায়া শরণখোলা উপজেলার সদরের  রায়েন্দা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
মামলার নথির বরাত দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁশুলি (পিপি) সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, ২০১৬ সালে শরণখোলা উপজেলার মঠেরপাড়া গ্রামের আল আমিনের সঙ্গে মায়ার মা পুতুল বেগমের বিয়ে হয়। ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর সকালে আল আমিন তাঁর স্ত্রী পুতুল বেগমকে ফোন করে মুরগি নিতে মেয়েকে বাজারে পাঠাতে বলে। স্বামীর ফোন পেয়ে তিনি একটি ভ্যানে করে মেয়েকে বাজারে তার স্বামীর কাছে পাঠান। এরপর থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর শিশুরটির সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতে পরিবারের লোকজন পুলিশকে জানায়।
শরণখোলা থানা পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে শিশু মায়ার সৎ বাবা আল আমিনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরদিন মঠেরপাড়া গ্রামের জনৈক লিটু মিয়ার ধানক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় ২১ ডিসেম্বর নিহতের নানা কামরুল হাসান দুলাল বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় একটি হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শরণখোলা থানার তৎকালীন উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. আমির হোসেন সৎ বাবা আল আমিনকে অভিযুক্ত করে ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতের বিচারক  ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন। আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ওজিয়ার রহমান পিকলু।