ঢাকা ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাসে অগ্নিসংযোগ: খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় জামিন চেয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার করা আবেদন ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিষ্পত্তি করতে কুমিল্লার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ কে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন ও এম মাহবুবউদ্দিন খোকন এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন।
২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় একটি নৈশকোচে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ৮ যাত্রী নিহত হয়। আহত হয় অনেকে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের পাশাপাশি বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়। এই মামলায় গত পহেলা জুলাই কুমিল্লার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে জামিন চান খালেদা জিয়া। আদালত জামিন শুনানি না করে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখায়। পাশাপাশি ৮ আগস্ট জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখে। ট্রাইব্যুনালের এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। শুনানি শেষে সোমবার হাইকোর্ট আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দিয়ে উপরোক্ত আদেশ দেয়।
খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিলের ওপর সপ্তম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপনের পাশাপাশি যুক্তিতর্ক পেশ করা হয়েছে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আব্দুর রেজ্জাক খান এবং দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন।
রেজ্জাক খান বলেন, প্রথম সাক্ষী ছাড়া এ মামলায় আর কোন এভিডেন্স নেই। ফৌজদারি মামলা এভিডেন্স দিয়ে প্রমাণ করতে হয়। এখানে মাইক্রোসকোপ দিয়েও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কিছু পাওয়া যাচ্ছে না।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দেয়। ওই সাজার বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। আপিলে সাজা বাতিলের পাশাপাশি তাকে বেকসুর খালাস দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাসে অগ্নিসংযোগ: খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

আপডেট টাইম ১২:২৫:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুলাই ২০১৮
বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় জামিন চেয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার করা আবেদন ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিষ্পত্তি করতে কুমিল্লার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ কে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন ও এম মাহবুবউদ্দিন খোকন এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন।
২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় একটি নৈশকোচে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ৮ যাত্রী নিহত হয়। আহত হয় অনেকে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের পাশাপাশি বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়। এই মামলায় গত পহেলা জুলাই কুমিল্লার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে জামিন চান খালেদা জিয়া। আদালত জামিন শুনানি না করে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখায়। পাশাপাশি ৮ আগস্ট জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখে। ট্রাইব্যুনালের এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। শুনানি শেষে সোমবার হাইকোর্ট আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দিয়ে উপরোক্ত আদেশ দেয়।
খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিলের ওপর সপ্তম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপনের পাশাপাশি যুক্তিতর্ক পেশ করা হয়েছে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আব্দুর রেজ্জাক খান এবং দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন।
রেজ্জাক খান বলেন, প্রথম সাক্ষী ছাড়া এ মামলায় আর কোন এভিডেন্স নেই। ফৌজদারি মামলা এভিডেন্স দিয়ে প্রমাণ করতে হয়। এখানে মাইক্রোসকোপ দিয়েও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কিছু পাওয়া যাচ্ছে না।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দেয়। ওই সাজার বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। আপিলে সাজা বাতিলের পাশাপাশি তাকে বেকসুর খালাস দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।