ঢাকা ০৫:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

সচিবালয়ে নেই জনপ্রতিনিধিদের আনাগোনা

সারাদিন ডেস্ক::জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত থাকায় সরকারি প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় প্রায় ফাঁকা। বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) ও আগের দিন বুধবার (২৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে দর্শনার্থী ও তদবিরকারীদের আনাগোনা তেমন দেখা যায়নি। নির্বাচনকালীন সরকারের নীতিনির্ধারণী কাজে মন্ত্রিসভার অংশগ্রহণ না থাকায় সচিবালয়ের কর্মীরাও এখন আয়েশি সময় অতিবাহিত করছেন। কাজের চাপ ও অনৈতিক তদবিরও নেই। প্রায় সব দফতরেই নির্বাচনী আলাপ-আলোচনা করে অলস সময় পার করছেন সরকারি কর্মীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সচিব সংবাদকে বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে সচিবালয়ে সংসদ সদস্য, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেয়রদের আনাগোনা একেবারেই কমে গেছে। নেই প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধিদের অপ্রত্যাশিত তদবির। তারা এখন নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত। এই সময়ে আমরা একটু বেশি স্বস্তি অনুভব করছি। নিজস্ব কাজে বেশি মনোযোগ দিচ্ছি।’ মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ সদস্যই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন; যার কারণে তারা এখন নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায় ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। বুধবার মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকজন মন্ত্রী সচিবালয়ে অফিস করলেও তারা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অফিসে ছিলেন। প্রয়োজনীয় রুটিন কাজ সম্পন্ন করেই তারা সচিবালয় ত্যাগ করেন।

তবে মন্ত্রিসভার টেকনোক্র্যাট সদস্যরা (চারজন) নিয়মিত সচিবালয়ে দাফতরিক দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকা থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন- মন্ত্রিসভার এমন সদস্যরা সুবিধাজনক সময়ে সচিবালয়ে নিজ নিজ দফতরে রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন। মন্ত্রিসভার সদস্যরা নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত থাকায় কাজের ভার কিছুটা বেড়েছে সচিবদের। সচিবরা নিয়মিতই অফিস করছেন। রুটিন দায়িত্ব সম্পন্ন করছেন।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বেলা ১২টার দিকে দর্শনাথীদের তেমন ভিড় দেখা যায়নি। আগের দিন বুধবারও সচিবালয় ছিল অনেকটাই ফাঁকা। সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মীদেরও অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। সচিবালয়ের দর্শনার্থীদের কক্ষটিও ছিল প্রায় ফাঁকা। ছিল না ঠিকাদারদের তৎপরতা।

এছাড়া মন্ত্রীদের অনুপস্থিতি ছাড়া কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় গত কিছুদিন ধরেই সচিবালয়ে তদবিরকারীদের আসা-যাওয়াও কমে গেছে। এ সুযোগে নিয়মিত রুটিন দায়িত্বপালনে সরকারি কর্মকর্তাদের অযাচিত তদবির সামলাতে হচ্ছে না। ঢিলেঢালা পরিস্থিতিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও রাজনৈতিক আলোচনা ও আসন্ন সংসদ নির্বাচনের হিসাব-নিকাশ নিয়ে সময় পার করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ সদস্যই নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় চলে যান। ওইদিন বিকালে নিজ নির্বাচনী এলাকা দিনাজপুর যান প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, কিশোরগঞ্জ যান শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু প্রমুখ। তারা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সচিবালয়ে ফিরেননি। এর আগে গত ২৪ নভেম্বর নিজ নির্বাচনী এলাকায় (সিলেট-৬) যান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ রায় বৃহস্পতিবার সংবাদকে বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয় ২৬ নভেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ করেই নির্বাচনী এলাকায় চলে গেছেন। তিনি আগামী মন্ত্রিসভার (৩ ডিসেম্বর) আগেই ঢাকায় ফিরবেন।’

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন না; তবে ভোট করছেন তার ছোট ভাই এমএ মোমেন। এজন্য ছোট ভাইয়ের মনোনয়নপত্র দাখিলের কার্যক্রম দেখভাল করতে ২৮ নভেম্বর সকালে সিলেট গেছেন অর্থমন্ত্রী।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ সময় ছিল ২৮ নভেম্বর। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমাদানের জন্য ২৮ নভেম্বর বা এর আগেই নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় যান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, যিনি ভোলা-১ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। মনোনয়নপত্র জমা দিতে নিজ নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরে রয়েছেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অফিস করেন বলে সংবাদকে জানান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে সচিবালয়ে আসেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের; ছিলেন ৩টা পর্যন্ত। আর বেলা ৩টা পর্যন্ত সচিবালয়ে অফিস করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল; যিনি ঢাকা-১১ আসন থেকে নির্বাচন করছেন। সচিবালয়ে দাফতরিক কাজ শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেলা ৩টার পর জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বলে সংবাদকে জানান তার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু।

এছাড়া তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমসহ অনেক মন্ত্রীই নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় রয়েছেন। তবে ঢাকা-২ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি ২৮ নভেম্বর অফিস করেননি।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার যেসব সদস্য সচিবালয়ে অফিস করেছেন, তারা মূলত রুটিন কাজ করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ কোনো সভা করেননি। রুটিন কাজ সম্পন্ন করেই তারা সচিবালয় ত্যাগ করেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ

সচিবালয়ে নেই জনপ্রতিনিধিদের আনাগোনা

আপডেট টাইম ০৭:১৯:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৮

সারাদিন ডেস্ক::জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত থাকায় সরকারি প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় প্রায় ফাঁকা। বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) ও আগের দিন বুধবার (২৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে দর্শনার্থী ও তদবিরকারীদের আনাগোনা তেমন দেখা যায়নি। নির্বাচনকালীন সরকারের নীতিনির্ধারণী কাজে মন্ত্রিসভার অংশগ্রহণ না থাকায় সচিবালয়ের কর্মীরাও এখন আয়েশি সময় অতিবাহিত করছেন। কাজের চাপ ও অনৈতিক তদবিরও নেই। প্রায় সব দফতরেই নির্বাচনী আলাপ-আলোচনা করে অলস সময় পার করছেন সরকারি কর্মীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সচিব সংবাদকে বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে সচিবালয়ে সংসদ সদস্য, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেয়রদের আনাগোনা একেবারেই কমে গেছে। নেই প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধিদের অপ্রত্যাশিত তদবির। তারা এখন নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত। এই সময়ে আমরা একটু বেশি স্বস্তি অনুভব করছি। নিজস্ব কাজে বেশি মনোযোগ দিচ্ছি।’ মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ সদস্যই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন; যার কারণে তারা এখন নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায় ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। বুধবার মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকজন মন্ত্রী সচিবালয়ে অফিস করলেও তারা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অফিসে ছিলেন। প্রয়োজনীয় রুটিন কাজ সম্পন্ন করেই তারা সচিবালয় ত্যাগ করেন।

তবে মন্ত্রিসভার টেকনোক্র্যাট সদস্যরা (চারজন) নিয়মিত সচিবালয়ে দাফতরিক দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকা থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন- মন্ত্রিসভার এমন সদস্যরা সুবিধাজনক সময়ে সচিবালয়ে নিজ নিজ দফতরে রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন। মন্ত্রিসভার সদস্যরা নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত থাকায় কাজের ভার কিছুটা বেড়েছে সচিবদের। সচিবরা নিয়মিতই অফিস করছেন। রুটিন দায়িত্ব সম্পন্ন করছেন।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বেলা ১২টার দিকে দর্শনাথীদের তেমন ভিড় দেখা যায়নি। আগের দিন বুধবারও সচিবালয় ছিল অনেকটাই ফাঁকা। সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মীদেরও অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। সচিবালয়ের দর্শনার্থীদের কক্ষটিও ছিল প্রায় ফাঁকা। ছিল না ঠিকাদারদের তৎপরতা।

এছাড়া মন্ত্রীদের অনুপস্থিতি ছাড়া কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় গত কিছুদিন ধরেই সচিবালয়ে তদবিরকারীদের আসা-যাওয়াও কমে গেছে। এ সুযোগে নিয়মিত রুটিন দায়িত্বপালনে সরকারি কর্মকর্তাদের অযাচিত তদবির সামলাতে হচ্ছে না। ঢিলেঢালা পরিস্থিতিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও রাজনৈতিক আলোচনা ও আসন্ন সংসদ নির্বাচনের হিসাব-নিকাশ নিয়ে সময় পার করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ সদস্যই নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় চলে যান। ওইদিন বিকালে নিজ নির্বাচনী এলাকা দিনাজপুর যান প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, কিশোরগঞ্জ যান শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু প্রমুখ। তারা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সচিবালয়ে ফিরেননি। এর আগে গত ২৪ নভেম্বর নিজ নির্বাচনী এলাকায় (সিলেট-৬) যান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ রায় বৃহস্পতিবার সংবাদকে বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয় ২৬ নভেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ করেই নির্বাচনী এলাকায় চলে গেছেন। তিনি আগামী মন্ত্রিসভার (৩ ডিসেম্বর) আগেই ঢাকায় ফিরবেন।’

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন না; তবে ভোট করছেন তার ছোট ভাই এমএ মোমেন। এজন্য ছোট ভাইয়ের মনোনয়নপত্র দাখিলের কার্যক্রম দেখভাল করতে ২৮ নভেম্বর সকালে সিলেট গেছেন অর্থমন্ত্রী।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ সময় ছিল ২৮ নভেম্বর। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমাদানের জন্য ২৮ নভেম্বর বা এর আগেই নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় যান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, যিনি ভোলা-১ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। মনোনয়নপত্র জমা দিতে নিজ নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরে রয়েছেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অফিস করেন বলে সংবাদকে জানান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে সচিবালয়ে আসেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের; ছিলেন ৩টা পর্যন্ত। আর বেলা ৩টা পর্যন্ত সচিবালয়ে অফিস করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল; যিনি ঢাকা-১১ আসন থেকে নির্বাচন করছেন। সচিবালয়ে দাফতরিক কাজ শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেলা ৩টার পর জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বলে সংবাদকে জানান তার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু।

এছাড়া তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমসহ অনেক মন্ত্রীই নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় রয়েছেন। তবে ঢাকা-২ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি ২৮ নভেম্বর অফিস করেননি।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার যেসব সদস্য সচিবালয়ে অফিস করেছেন, তারা মূলত রুটিন কাজ করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ কোনো সভা করেননি। রুটিন কাজ সম্পন্ন করেই তারা সচিবালয় ত্যাগ করেন।