ঢাকা ০৬:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হামলা করলো যারা, মামলাও করলো তারা : ফখরুল

সারাদিন ডেস্ক::আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ক্ষমতায় থাকার জন্য ডিজিটাল ফরমুলা বাস্তবায়ন শুরু শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আমার নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসার প্রথমদিন বেগুনবাড়ি দানারহাট এলাকায় আমার গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে ওই এলাকার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। তাদের হামলায় ৬টি গাড়ি ভাঙচুর ও ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। কিন্তু নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য দলীয় কর্মীদের এই উসকানিতে পা না বাড়াতে পরামর্শ দেই ও হামলার ঘটনায় জেলা রিটার্নিং অফিসারকে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করি, কিন্তু একদলীয় শাসনব্যবস্থার সরকার প্রমাণ দিল ‘যারাই হামলা করলো, আবার তারাই মামলা করলো আমার লোকজনের বিরুদ্ধে এবং ১ জনকে গ্রেপ্তারো করল পুলিশ।’ ওইদিনের ঘটনায় আওয়ামী লীগ বিএনপির ৫৭ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে, আবার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একজনকে আটকও করেছে।

১৩ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় ঠাকুরগাঁওয়ে তিন দিনের নির্বাচনীয় প্রচারণা শেষে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনীময় কালে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সকল দল যখন সরকার পতন করতে ঐক্যবদ্ধ তখন নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে আওয়ামী লীগ। সরকার ইতোমধ্যে বিএনপির গণজোয়ারে হতাশ হয়ে পড়েছে। তাই দলীয় প্রশাসনকে ব্যবহার করে নির্বাচন বানচাল করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে তারা।

নির্বাচন কমিশন ব্যর্থতায় পরিণত হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ইসি ভোটের আগে নতুন কোনো মামলা, গ্রেফতার ও হয়রানি না করার কথা দিয়েছে। সংলাপে প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন আর কোনো মামলা, গ্রেফতার করা হবে না। সুষ্ঠু পরিবেশে সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু তা বাস্তবায়ন কতটুকু পত্রিকা ও টিভিতে চোখ রাখলে বোঝা যায়।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কোনো উসকানিতে পা দেবেন না। আমরা নির্বাচনে যাব এবং শেষমুহূর্ত পর্যন্ত দেখব। জাতির এই কঠিন সংকটে নির্বাচনই হচ্ছে একমাত্র পথ যার মাধ্যমে আমরা পরিবর্তন আনতে পারি। বিএনপির বন্দুক-পিস্তল-অস্ত্র নেই, শুধু রয়েছে ভোটের দিনে একটি ব্যালট পেপার। যা দিয়ে সরকার পরিবর্তন করা যেতে পারে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জনগণই পারে ধানের শীষে একটি করে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে।

সভায়  জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি পয়গাম আলীসহ জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মী ও ঠাকুরগাঁও জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারণার জন্য গত ১১ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও আসেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি ১৪ ডিসেম্বর সকালে বগুড়া-৬ আসনে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য বগুড়ার উদ্দেশে রওনা করেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

হামলা করলো যারা, মামলাও করলো তারা : ফখরুল

আপডেট টাইম ১২:২০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮

সারাদিন ডেস্ক::আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ক্ষমতায় থাকার জন্য ডিজিটাল ফরমুলা বাস্তবায়ন শুরু শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আমার নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসার প্রথমদিন বেগুনবাড়ি দানারহাট এলাকায় আমার গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে ওই এলাকার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। তাদের হামলায় ৬টি গাড়ি ভাঙচুর ও ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। কিন্তু নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য দলীয় কর্মীদের এই উসকানিতে পা না বাড়াতে পরামর্শ দেই ও হামলার ঘটনায় জেলা রিটার্নিং অফিসারকে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করি, কিন্তু একদলীয় শাসনব্যবস্থার সরকার প্রমাণ দিল ‘যারাই হামলা করলো, আবার তারাই মামলা করলো আমার লোকজনের বিরুদ্ধে এবং ১ জনকে গ্রেপ্তারো করল পুলিশ।’ ওইদিনের ঘটনায় আওয়ামী লীগ বিএনপির ৫৭ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে, আবার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একজনকে আটকও করেছে।

১৩ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় ঠাকুরগাঁওয়ে তিন দিনের নির্বাচনীয় প্রচারণা শেষে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনীময় কালে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সকল দল যখন সরকার পতন করতে ঐক্যবদ্ধ তখন নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে আওয়ামী লীগ। সরকার ইতোমধ্যে বিএনপির গণজোয়ারে হতাশ হয়ে পড়েছে। তাই দলীয় প্রশাসনকে ব্যবহার করে নির্বাচন বানচাল করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে তারা।

নির্বাচন কমিশন ব্যর্থতায় পরিণত হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ইসি ভোটের আগে নতুন কোনো মামলা, গ্রেফতার ও হয়রানি না করার কথা দিয়েছে। সংলাপে প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন আর কোনো মামলা, গ্রেফতার করা হবে না। সুষ্ঠু পরিবেশে সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু তা বাস্তবায়ন কতটুকু পত্রিকা ও টিভিতে চোখ রাখলে বোঝা যায়।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কোনো উসকানিতে পা দেবেন না। আমরা নির্বাচনে যাব এবং শেষমুহূর্ত পর্যন্ত দেখব। জাতির এই কঠিন সংকটে নির্বাচনই হচ্ছে একমাত্র পথ যার মাধ্যমে আমরা পরিবর্তন আনতে পারি। বিএনপির বন্দুক-পিস্তল-অস্ত্র নেই, শুধু রয়েছে ভোটের দিনে একটি ব্যালট পেপার। যা দিয়ে সরকার পরিবর্তন করা যেতে পারে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জনগণই পারে ধানের শীষে একটি করে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে।

সভায়  জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি পয়গাম আলীসহ জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মী ও ঠাকুরগাঁও জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারণার জন্য গত ১১ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও আসেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি ১৪ ডিসেম্বর সকালে বগুড়া-৬ আসনে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য বগুড়ার উদ্দেশে রওনা করেন।