আজম রেহমান:: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার জগদল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হওয়ার খরব পাওয়া গেছে।
সোমবার বিকাল ৫টার দিকে জগদল ক্যাম্পের কাছে সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ধর্মগড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল।
নিহত সোহেল রানা বাবু (১৪) হরিপুর উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়নের মারাধার গ্রামের একরামুল হকের ছেলে।
এলাকাবাসীর বরাতে চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল বলেন, দাওয়াত খাওয়ার জন্য কিছুদিন আগে মামার সঙ্গে সোহেল রানা বাবু অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে।
সোমবার বিকালে তারা জগদল সীমান্তের ৩৭৩/২ এস পিলার এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে আসছিল। এ সময় ভারতের উত্তর দিনাজপুর জেলার কুকড়াদহ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের দিকে গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই বাবু নিহত হয়
তার মামা পালিয়ে চলে এসেছে বলে জানান শফিকুল।
রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব সভাপতি মোবারক আলী নিশ্চিত করেন , “নিহত কিশোর সোহেল রানা বাবুর বাড়ি হরিপুর উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মারাধার গ্রামে।”
তিনি বলেন, শোনা যাচ্ছে কয়েকদিন আগে সোহেলসহ কয়েকজন ছেলে ভারতে গিয়েছিল। আজকে তারা ভারত থেকে কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে বাংলাদেশে আসছিল; সবাই চলে আসলেও সোহেল আসতে পারেনি, সে কাঁটাতারের মাঝখানে পড়ে যায়।
“এ সময় ভারতের বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।”
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, সীমান্তে নিহত হয়েছে এটি আমরা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে বিএসএফকে পত্র পাঠানো হয়েছে; আগামীকাল সীমান্ত এলাকায় পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
গত ১০ দিনে ঠাকুরগাঁও সীমান্তে এ নিয়ে ৩ জন বাংলাদেশী নিহত হবার ঘটনা ঘটলো। এর আগে ১৮ জানুয়ারি জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় সীমান্তে জাহাঙ্গীর আলম (২১) বিএসএফর গুলিতে নিহত হন । এর চারদিন পর হরিপুর উপজেলার মিনাপুর সীমান্তে মো. জেনারুল হক (২২) নামে আরেক যুবক ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন ।