ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে সুখবর দিলো বিটিআরসি ঠাকুরগাওয়ে ৩ দফা দাবীতে চাকুরীচ্যুৎ ও জেলবন্দি বিডিআর পরিবারের মানববন্ধন ৪৩তম বিসিএস: সহকারী কমিশনার হলেন ২৬৭ কর্মকর্তা টিসিবির ট্রাক সেল ফের চালুর দাবি জাতীয় নাগরিক কমিটির বিআরটিএ বন্ধের চিন্তা করা হবে: সড়ক উপদেষ্টা ‘শুল্ক ও করহার বাড়ানো অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী’ ফ্যাসিস্ট শক্তি জয়ী হলে দুই লাখ মানুষকে জেলে যেতে হতো: প্রেস সচিব জাতিকে বিভক্ত করার প্রচেষ্টা রুখতে ঐক্য জরুরি: ফখরুল খালেদার চিকিৎসায় সুবিধা দেওয়ায় কাতার ও যুক্তরাজ্যকে ধন্যবাদ দিল বিএনপি চলচ্চিত্র তারকা প্রবীর মিত্রের শেষ বিদায়, ইসলামী রীতিতে দাফন

ইঞ্জিনিয়ারের সাফাই রানীশংকৈলে জাইকার কাজে অনিয়মের অভিযোগ

রানীশংকৈল প্রতিনিধিঃ- ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল পৌরসভার অর্ন্তগত জাইকার(জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো অপারেশন এজেন্সি) অর্থায়নে নতুন রাস্তা নির্মানের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়,জাইকার অর্থায়নে ২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার বরাদ্দে প্রায় ৬ কিঃমিঃ রাস্তা নির্মানের কাজ গত সেপ্টেম্বর মাসে পায় সিরাজগঞ্জ জেলার ঠিকাদার মির্জ্জা কনস্ট্রাকশন তিনি আবার কাজটি করার দায়িত্ব দেন ঐ জেলার ঠিকাদার নাবিল কনস্টাকশনের প্রোঃ সুইটকে। অভিযোগ উঠেছে রাস্তা খুড়ে ঠিকমত রোলার না করে হাতে ধুরমুজ করে এতে ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যা জাইকার নিয়মবহির্ভূত। এছাড়াও ঠিকাদার নিন্ম মানের ইট কিনে নতুন রাস্তা নির্মানের জন্য খোয়া ভাঙ্গাছেন। যে খোয়াগুলোর কোন স্থায়িত্ব নেই। এছাড়াও নিয়মনুযায়ী ইটের গুনগুত মান নির্ণয়ের জন্য ল্যাবটেষ্ট করার বিধান থাকলেও করা হয় নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও কাজ শুরুর পূর্বে কাজের সমস্ত বিবরনী দিয়ে সাইনর্বোড টাঙ্গানোর কথা থাকলেও টাঙ্গা হয় নি।
এদিকে এ বিষয়ে তথ্য দিতে ছলছাতুরী করেছেন জাইকার রানীশংকৈল পৌরসভার মিউনিসিপাল ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুল আলম। তার কাছে এমন নির্ন্ম মানেই ইট ব্যবহারের বিষয় জানতে চাইলে এক ধরনের ঠিকাদারের সাফাই গেয়ে বলেন,আমারতো গোটা ইটের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন ৫০ এম এলের খোয়ার।
গতকাল শনিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,পৌরসভার ৮নং ওর্য়াডের বিএন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হইতে খুনিয়া দীঘি সংলগ্ন একটি রাস্তা নির্মানের কাজ চলছে। নিয়মনুযায়ী ভাটার পিকিট ইট ব্যবহার করার বিধান থাকলেও সেখানে বিভিন্ন ধরনের মিকচার ভাঙ্গা রাবিশ ইট স্তুপ করে রাখা হয়েছে। তার পাশেই কিছু শ্রমিক ঐ ইট গুলোর খোয়া ভাঙ্গছেন। কিছু শ্রমিক ভাঙ্গা খোয়া গুলো তুলে রাস্তার সাইডে পূবেই খননকৃত দেড়ফিট প্রস্ত গর্তে ফেলছেন। অভিযোগ উঠেছে খননকৃত গর্তে পানি দিয়ে রোলার করার কথা থাকলেও করা হয় নি। এছাড়াও রাবিশ মাটি বালু ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। ঐ এলাকার পথচারী জব্বার বলেন,ইতিমধ্যেও পৌরসভায় জাইকার কাজ হয়েছে তবে এমন অনিয়ম হয় নি। কাজের মান দেখে আমরাই নতুন কিছু দেখেছি। এবারে নির্ন্ম মানের ইটের ব্যবহার এবং অগোছালোভাবে কাজ করা হচ্ছে। এমন অভিযোগ ঐ এলাকার অনেকের।
এ প্রসঙ্গে ঠিকাদার সুইট বলেন,আমরা তিনটি ভাটা থেকে ইট নিয়েছি। একটি ভাটা আমাদের খারাপ ইট দিয়েছে। এ ইট ব্যবহার করবেন কিনা প্রশ্নে বলেন,যেহুতে দিয়ে দিছে তো আর কি করার।
এ প্রসঙ্গে বক্তব্য নিতে গতকাল শনিবার দুপুরে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায় নি মেয়র আলমগীর সরকারকে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে সুখবর দিলো বিটিআরসি

ইঞ্জিনিয়ারের সাফাই রানীশংকৈলে জাইকার কাজে অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট টাইম ০১:৫৮:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৮

রানীশংকৈল প্রতিনিধিঃ- ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল পৌরসভার অর্ন্তগত জাইকার(জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো অপারেশন এজেন্সি) অর্থায়নে নতুন রাস্তা নির্মানের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়,জাইকার অর্থায়নে ২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার বরাদ্দে প্রায় ৬ কিঃমিঃ রাস্তা নির্মানের কাজ গত সেপ্টেম্বর মাসে পায় সিরাজগঞ্জ জেলার ঠিকাদার মির্জ্জা কনস্ট্রাকশন তিনি আবার কাজটি করার দায়িত্ব দেন ঐ জেলার ঠিকাদার নাবিল কনস্টাকশনের প্রোঃ সুইটকে। অভিযোগ উঠেছে রাস্তা খুড়ে ঠিকমত রোলার না করে হাতে ধুরমুজ করে এতে ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যা জাইকার নিয়মবহির্ভূত। এছাড়াও ঠিকাদার নিন্ম মানের ইট কিনে নতুন রাস্তা নির্মানের জন্য খোয়া ভাঙ্গাছেন। যে খোয়াগুলোর কোন স্থায়িত্ব নেই। এছাড়াও নিয়মনুযায়ী ইটের গুনগুত মান নির্ণয়ের জন্য ল্যাবটেষ্ট করার বিধান থাকলেও করা হয় নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও কাজ শুরুর পূর্বে কাজের সমস্ত বিবরনী দিয়ে সাইনর্বোড টাঙ্গানোর কথা থাকলেও টাঙ্গা হয় নি।
এদিকে এ বিষয়ে তথ্য দিতে ছলছাতুরী করেছেন জাইকার রানীশংকৈল পৌরসভার মিউনিসিপাল ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুল আলম। তার কাছে এমন নির্ন্ম মানেই ইট ব্যবহারের বিষয় জানতে চাইলে এক ধরনের ঠিকাদারের সাফাই গেয়ে বলেন,আমারতো গোটা ইটের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন ৫০ এম এলের খোয়ার।
গতকাল শনিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,পৌরসভার ৮নং ওর্য়াডের বিএন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হইতে খুনিয়া দীঘি সংলগ্ন একটি রাস্তা নির্মানের কাজ চলছে। নিয়মনুযায়ী ভাটার পিকিট ইট ব্যবহার করার বিধান থাকলেও সেখানে বিভিন্ন ধরনের মিকচার ভাঙ্গা রাবিশ ইট স্তুপ করে রাখা হয়েছে। তার পাশেই কিছু শ্রমিক ঐ ইট গুলোর খোয়া ভাঙ্গছেন। কিছু শ্রমিক ভাঙ্গা খোয়া গুলো তুলে রাস্তার সাইডে পূবেই খননকৃত দেড়ফিট প্রস্ত গর্তে ফেলছেন। অভিযোগ উঠেছে খননকৃত গর্তে পানি দিয়ে রোলার করার কথা থাকলেও করা হয় নি। এছাড়াও রাবিশ মাটি বালু ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। ঐ এলাকার পথচারী জব্বার বলেন,ইতিমধ্যেও পৌরসভায় জাইকার কাজ হয়েছে তবে এমন অনিয়ম হয় নি। কাজের মান দেখে আমরাই নতুন কিছু দেখেছি। এবারে নির্ন্ম মানের ইটের ব্যবহার এবং অগোছালোভাবে কাজ করা হচ্ছে। এমন অভিযোগ ঐ এলাকার অনেকের।
এ প্রসঙ্গে ঠিকাদার সুইট বলেন,আমরা তিনটি ভাটা থেকে ইট নিয়েছি। একটি ভাটা আমাদের খারাপ ইট দিয়েছে। এ ইট ব্যবহার করবেন কিনা প্রশ্নে বলেন,যেহুতে দিয়ে দিছে তো আর কি করার।
এ প্রসঙ্গে বক্তব্য নিতে গতকাল শনিবার দুপুরে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায় নি মেয়র আলমগীর সরকারকে।