ঢাকা ১০:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোদি-মমতার জনসভায় উপচে পড়া ভিড়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক::একদিকে শিলিগুড়ির কাওয়াখালির মাঠ। অন্য দিকে দিনহাটা। কাওয়াখালির বড় মাঠে বৃহস্পতিবার বিজেপির প্রত্যাশা অনুযায়ীই মানুষের ঢল চোখে পড়েছে। উত্তরবঙ্গের সব জেলা ছাড়াও বিহার থেকেও লোক এসেছিল নরেন্দ্র মোদির জনসভায়।

অন্যদিকে দিনহাটার মাঠে লোক ধরে তুলনায় অনেক কম। পঞ্চাশ হাজারের মতো। কিন্তু মাত্র দু’দিনের নোটিশে সেই মাঠেও মানুষের সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। তৃণমূলের ওই সভায় মাঠ উপচে মানুষ ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশে।

স্থানীয় পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, ওই জনসমাগমে যে পরিমান মানুষ ছিল তা ষাট হাজারের কম হবে না।

বিজেপির শিলিগুড়ির নেতারা বারবার দাবি করছিলেন, তারা মোদির সভা শহরের লোক দিয়েই পূর্ণ করবেন। কিন্তু কাওয়াখালির সভাকে সামনে রেখে উত্তরবঙ্গের সব জেলায় কর্মীসভা হয়েছে প্রায় দশ দিন ধরে। সভার কথা ঘোষণার পরে পূর্ণ শক্তিতে মাঠে নেমেছিল বিজেপি।

বিজেপি ছাড়াও বিমলপন্থী মোর্চা, জিএনএলএফ, অনন্তপন্থী গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা, কর্মীরাও মাঠে জনসমাগম করতে উপস্থিত ছিলেন। দশ দিন আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, সভায় দু’লক্ষের কাছাকাছি লোক হয়েছিল।

পাহাড় থেকে প্রচুর মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগ দিয়েছেন। বাঁশ দিয়ে ঘেরা সভাস্থল ভরে যাওয়ার পর মহানন্দা নদীর বাঁধের উপরও ভিড় জমে যায়। প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে সভাস্থল সংলগ্ন মহানন্দা সেতু ও এশিয়ান হাইওয়ে-২য়ের উপরও সারি দিয়ে দাড়িয়ে ছিলেন উৎসাহীরা।

modi-momota

প্রধানমন্ত্রী তখনও এসে পৌছাননি। মঞ্চে ভাষণ দিচ্ছিলেন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। হঠাৎ সভাস্থলের একদিকে চেয়ার নিয়ে টানাটানি শুরু করেন একদল বিজেপি কর্মী। শুরু হয়ে যায় হুড়োহুড়ি। কর্মীদের শান্ত হতে ঘন ঘন মাইকে ঘোষণা করেন রূপা। প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে উঠে হাত নাড়তেই চারিদিকে মোদি, মোদি চিৎকার শুরু হয়ে যায়।

উৎসাহী জনতার চিৎকারে দু’বার ভাষণ থামান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, এত ভালবাসা বাংলা আমাকে দিয়েছে, আমি মাথা নত করে প্রণাম করছি। আপনাদের ভালোবাসা দিদির ঘুম কেড়ে নেবে। ভাষণের শুরুতে শেষে ও মাঝে একাধিকবার ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দেন মোদি।

অন্যদিকে, মাত্র দুই দিনের প্রস্তুতিতে দিনহাটায় মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল সংহতি ময়দানে বিপুল সমাগম ছিল তৃণমূলেরও। দিনহাটা-১, দিনহাটা-২ এবং সিতাই-মূলত এই তিন ব্লক থেকেই তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা মুখ্যমন্ত্রীর সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন। পুলিশ বলছে, সংহতি ময়দানে প্রায় ৫০ হাজার লোক ধরে। তবে বৃহস্পতিবারের উপচে পরা ভিড়ে প্রায় ৬০ হাজার লোক উপস্থিত ছিলেন।

দিনহাটায় মুখ্যমন্ত্রীর সভা নিয়েও উৎসাহ কম ছিল না। দিনহাটার ভেটাগুড়িতেই বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি। সেখানে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখে অস্বস্তিতে ছিলেন জেলার বিজেপি নেতারাও। মুখ্যমন্ত্রীকে একবার দেখতে দিনহাটা সংহতি ময়দানের আশেপাশের বাড়ি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ছাদগুলিতেও এদিন উৎসাহী জনতার ভিড় দেখা যায়।

ময়দানের পাশে থাকা কাছারি, আশে পাশের রাস্তা সব জায়গাতেই ভীড় করছিল সাধারণ মানুষ। থানা দিঘির মাঠে বসেও অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ শোনেন। দলীয় নেতা, কর্মীদের উজ্জীবিত করতে মমতাও মঞ্চে ‘বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ’ বলে স্লোগান দেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

মোদি-মমতার জনসভায় উপচে পড়া ভিড়

আপডেট টাইম ০১:৪৯:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০১৯
আন্তর্জাতিক ডেস্ক::একদিকে শিলিগুড়ির কাওয়াখালির মাঠ। অন্য দিকে দিনহাটা। কাওয়াখালির বড় মাঠে বৃহস্পতিবার বিজেপির প্রত্যাশা অনুযায়ীই মানুষের ঢল চোখে পড়েছে। উত্তরবঙ্গের সব জেলা ছাড়াও বিহার থেকেও লোক এসেছিল নরেন্দ্র মোদির জনসভায়।

অন্যদিকে দিনহাটার মাঠে লোক ধরে তুলনায় অনেক কম। পঞ্চাশ হাজারের মতো। কিন্তু মাত্র দু’দিনের নোটিশে সেই মাঠেও মানুষের সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। তৃণমূলের ওই সভায় মাঠ উপচে মানুষ ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশে।

স্থানীয় পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, ওই জনসমাগমে যে পরিমান মানুষ ছিল তা ষাট হাজারের কম হবে না।

বিজেপির শিলিগুড়ির নেতারা বারবার দাবি করছিলেন, তারা মোদির সভা শহরের লোক দিয়েই পূর্ণ করবেন। কিন্তু কাওয়াখালির সভাকে সামনে রেখে উত্তরবঙ্গের সব জেলায় কর্মীসভা হয়েছে প্রায় দশ দিন ধরে। সভার কথা ঘোষণার পরে পূর্ণ শক্তিতে মাঠে নেমেছিল বিজেপি।

বিজেপি ছাড়াও বিমলপন্থী মোর্চা, জিএনএলএফ, অনন্তপন্থী গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা, কর্মীরাও মাঠে জনসমাগম করতে উপস্থিত ছিলেন। দশ দিন আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, সভায় দু’লক্ষের কাছাকাছি লোক হয়েছিল।

পাহাড় থেকে প্রচুর মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগ দিয়েছেন। বাঁশ দিয়ে ঘেরা সভাস্থল ভরে যাওয়ার পর মহানন্দা নদীর বাঁধের উপরও ভিড় জমে যায়। প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে সভাস্থল সংলগ্ন মহানন্দা সেতু ও এশিয়ান হাইওয়ে-২য়ের উপরও সারি দিয়ে দাড়িয়ে ছিলেন উৎসাহীরা।

modi-momota

প্রধানমন্ত্রী তখনও এসে পৌছাননি। মঞ্চে ভাষণ দিচ্ছিলেন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। হঠাৎ সভাস্থলের একদিকে চেয়ার নিয়ে টানাটানি শুরু করেন একদল বিজেপি কর্মী। শুরু হয়ে যায় হুড়োহুড়ি। কর্মীদের শান্ত হতে ঘন ঘন মাইকে ঘোষণা করেন রূপা। প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে উঠে হাত নাড়তেই চারিদিকে মোদি, মোদি চিৎকার শুরু হয়ে যায়।

উৎসাহী জনতার চিৎকারে দু’বার ভাষণ থামান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, এত ভালবাসা বাংলা আমাকে দিয়েছে, আমি মাথা নত করে প্রণাম করছি। আপনাদের ভালোবাসা দিদির ঘুম কেড়ে নেবে। ভাষণের শুরুতে শেষে ও মাঝে একাধিকবার ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দেন মোদি।

অন্যদিকে, মাত্র দুই দিনের প্রস্তুতিতে দিনহাটায় মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল সংহতি ময়দানে বিপুল সমাগম ছিল তৃণমূলেরও। দিনহাটা-১, দিনহাটা-২ এবং সিতাই-মূলত এই তিন ব্লক থেকেই তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা মুখ্যমন্ত্রীর সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন। পুলিশ বলছে, সংহতি ময়দানে প্রায় ৫০ হাজার লোক ধরে। তবে বৃহস্পতিবারের উপচে পরা ভিড়ে প্রায় ৬০ হাজার লোক উপস্থিত ছিলেন।

দিনহাটায় মুখ্যমন্ত্রীর সভা নিয়েও উৎসাহ কম ছিল না। দিনহাটার ভেটাগুড়িতেই বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি। সেখানে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখে অস্বস্তিতে ছিলেন জেলার বিজেপি নেতারাও। মুখ্যমন্ত্রীকে একবার দেখতে দিনহাটা সংহতি ময়দানের আশেপাশের বাড়ি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ছাদগুলিতেও এদিন উৎসাহী জনতার ভিড় দেখা যায়।

ময়দানের পাশে থাকা কাছারি, আশে পাশের রাস্তা সব জায়গাতেই ভীড় করছিল সাধারণ মানুষ। থানা দিঘির মাঠে বসেও অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ শোনেন। দলীয় নেতা, কর্মীদের উজ্জীবিত করতে মমতাও মঞ্চে ‘বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ’ বলে স্লোগান দেন।