গাজীপুর প্যাসেঞ্জার কমিউনিটি এ কর্মসূচির আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি মো. সামসুল হকের সভাপতিত্বে কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী, আওয়ামী লীগের নেতা আরিফুল ইসলাম, হোসনে আরা সিদ্দিকা জুলি, মোহাম্মদ শরীফ হোসাইন প্রমুখ। কর্মসূচি চলাকালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েক শ নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
১০ দফা দাবির মধ্যে আরও আছে ট্রেনের বগি বৃদ্ধি, জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে ওভারব্রিজ নির্মাণ, জয়দেবপুর স্টেশনে ট্রেনের আসন বৃদ্ধি, জয়দেবপুর রেলজংশনকে আধুনিকায়ন এবং নারী যাত্রীদের জন্য বগি সংযোজন।
সভাপতির বক্তব্যে সামসুল হক বলেন, করোনাকালে ‘অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প চালু করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটির মাধ্যমে রেলওয়ে পরিচালিত ট্রেনগুলোতে আসনবিহীন যাত্রী নিয়ন্ত্রণ করা হলেও বেসরকারিভাবে চালিত ট্রেনগুলো চলছে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে গাদাগাদি, ঠাসাঠাসি করে। এতে সীমাহীন কষ্টে পড়েছেন গাজীপুর থেকে ঢাকায় যাতায়াতকারী নিয়মিত যাত্রীরা। তাই তিনি ‘অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প’ না করে সেটিকে ‘অতিরিক্ত যাত্রী ব্যবস্থাপনা প্রকল্প’ করার দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, প্রায় ৭০ লাখ মানুষ গাজীপুর জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবাস করেন। গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও নয়টি আন্তনগর ট্রেনের জয়দেবপুর জংশনে কোনো স্টপেজ নেই। গাজীপুরে ট্রেন না থামায় এবং চাহিদা অনুযায়ী টিকিট না পাওয়ায় যাত্রীদের বিমানবন্দর থেকে যাতায়াত করতে হয়। এতে এই সড়কে বাড়তি যাত্রী চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা। দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে বক্তারা বলেন।