ঢাকা ০২:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
হাজীপুর কলেজে জীবন্ত গাছ কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট, সভাপতি বলেছেন ব্যবস্থা নেয়া হবে ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত চাচাকে দেখতে যাবার পথে স্কুলশিক্ষিকা ভাস্তি মিনিবাস’র ধাক্কায় নিহত সংবিধান বাতিল করে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সাংবাদিক আব্দুর রহমান মারা গেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিলেন শিক্ষার্থীরা হজরত সোলায়মান (আ.) ও রানি বিলকিসের ঘটনা লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন কখন পড়বেন সরকারি প্রকল্পের শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে আসন পেতে মায়েদের ছোটাছুটি শনিবার খোলা থাকায় বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন বিআরটিএ গ্রাহক আন্দোলনকারী কর্মকর্তাদের ‘কঠোর বার্তা’ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের

সর্বাত্মক লকডাউনেও বের হচ্ছেন মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক::করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আজ থেকে সারাদেশে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়েছে। রাজধানীসহ সারাদেশে এটি কার্যকরে পুলিশ তৎপর রয়েছে। তবে সর্বাত্মক লকডাউনেও ঘরের বাইরে অনেক মানুষকে বের হতে দেখা গেছে। ​শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শেওড়াপাড়া, শ্যামলি ও শাহবাগ ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে। এসব চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তার বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। জরুরিসেবার সেবার জন্য যারা বরে হয়েছেন তাদের চেকপোস্ট পার হবার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে অযথা বের হবার কারণে অনেককেই ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে প্রিন্ট কপি বা মোবাইলে মুভেমন্ট পাসে দেখিয়ে অনেককেই চলাচল করছেন।

গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও প্রাইভেট কারে চলাচল বেশি। রাস্তায় সিএনজি ও রিকশার সংখ্যাও বেড়েছে। রমজানের শুরুর দিনে কঠোর লকডাউনে বাড়ির বাইরে বের হলেই পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তাই নানা ছুঁতোয় ঘর থেকে বের হয়ে পার পাচ্ছে না কেউ।

এছাড়া সর্বাত্মক লকডাউনে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে ‘মুভমেন্ট পাস’ দিতে পুলিশ মঙ্গলবার বিশেষ অ্যাপ চালু করেছে। প্রথম দিনে এই পাস দেয়া হয়েছে ৩০ হাজার মানুষকে।

সরকারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন—কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুত্, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডাকসেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন—এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।

ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার ইত্যাদি অতি জরুরি প্রয়োজনীয় কাজে বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় এর আগে গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত লকডাউন বা বিধিনিষেধ ছিল। তবে গণপরিবহন, মার্কেট খোলা রেখে এই লকডাউন ছিল অনেকটাই অকার্যকর। এরপরই স্বাস্থ্যবিষয়ক কমিটির পরামর্শ মেনে সর্বাত্মক লকডাউন জারি করল সরকার।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

হাজীপুর কলেজে জীবন্ত গাছ কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট, সভাপতি বলেছেন ব্যবস্থা নেয়া হবে

সর্বাত্মক লকডাউনেও বের হচ্ছেন মানুষ

আপডেট টাইম ০১:০৮:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক::করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আজ থেকে সারাদেশে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়েছে। রাজধানীসহ সারাদেশে এটি কার্যকরে পুলিশ তৎপর রয়েছে। তবে সর্বাত্মক লকডাউনেও ঘরের বাইরে অনেক মানুষকে বের হতে দেখা গেছে। ​শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শেওড়াপাড়া, শ্যামলি ও শাহবাগ ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে। এসব চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তার বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। জরুরিসেবার সেবার জন্য যারা বরে হয়েছেন তাদের চেকপোস্ট পার হবার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে অযথা বের হবার কারণে অনেককেই ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে প্রিন্ট কপি বা মোবাইলে মুভেমন্ট পাসে দেখিয়ে অনেককেই চলাচল করছেন।

গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও প্রাইভেট কারে চলাচল বেশি। রাস্তায় সিএনজি ও রিকশার সংখ্যাও বেড়েছে। রমজানের শুরুর দিনে কঠোর লকডাউনে বাড়ির বাইরে বের হলেই পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তাই নানা ছুঁতোয় ঘর থেকে বের হয়ে পার পাচ্ছে না কেউ।

এছাড়া সর্বাত্মক লকডাউনে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে ‘মুভমেন্ট পাস’ দিতে পুলিশ মঙ্গলবার বিশেষ অ্যাপ চালু করেছে। প্রথম দিনে এই পাস দেয়া হয়েছে ৩০ হাজার মানুষকে।

সরকারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন—কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুত্, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডাকসেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন—এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।

ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার ইত্যাদি অতি জরুরি প্রয়োজনীয় কাজে বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় এর আগে গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত লকডাউন বা বিধিনিষেধ ছিল। তবে গণপরিবহন, মার্কেট খোলা রেখে এই লকডাউন ছিল অনেকটাই অকার্যকর। এরপরই স্বাস্থ্যবিষয়ক কমিটির পরামর্শ মেনে সর্বাত্মক লকডাউন জারি করল সরকার।