ঢাকা ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

সর্বাত্মক লকডাউনেও বের হচ্ছেন মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক::করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আজ থেকে সারাদেশে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়েছে। রাজধানীসহ সারাদেশে এটি কার্যকরে পুলিশ তৎপর রয়েছে। তবে সর্বাত্মক লকডাউনেও ঘরের বাইরে অনেক মানুষকে বের হতে দেখা গেছে। ​শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শেওড়াপাড়া, শ্যামলি ও শাহবাগ ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে। এসব চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তার বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। জরুরিসেবার সেবার জন্য যারা বরে হয়েছেন তাদের চেকপোস্ট পার হবার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে অযথা বের হবার কারণে অনেককেই ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে প্রিন্ট কপি বা মোবাইলে মুভেমন্ট পাসে দেখিয়ে অনেককেই চলাচল করছেন।

গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও প্রাইভেট কারে চলাচল বেশি। রাস্তায় সিএনজি ও রিকশার সংখ্যাও বেড়েছে। রমজানের শুরুর দিনে কঠোর লকডাউনে বাড়ির বাইরে বের হলেই পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তাই নানা ছুঁতোয় ঘর থেকে বের হয়ে পার পাচ্ছে না কেউ।

এছাড়া সর্বাত্মক লকডাউনে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে ‘মুভমেন্ট পাস’ দিতে পুলিশ মঙ্গলবার বিশেষ অ্যাপ চালু করেছে। প্রথম দিনে এই পাস দেয়া হয়েছে ৩০ হাজার মানুষকে।

সরকারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন—কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুত্, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডাকসেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন—এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।

ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার ইত্যাদি অতি জরুরি প্রয়োজনীয় কাজে বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় এর আগে গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত লকডাউন বা বিধিনিষেধ ছিল। তবে গণপরিবহন, মার্কেট খোলা রেখে এই লকডাউন ছিল অনেকটাই অকার্যকর। এরপরই স্বাস্থ্যবিষয়ক কমিটির পরামর্শ মেনে সর্বাত্মক লকডাউন জারি করল সরকার।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

সর্বাত্মক লকডাউনেও বের হচ্ছেন মানুষ

আপডেট টাইম ০১:০৮:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক::করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আজ থেকে সারাদেশে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়েছে। রাজধানীসহ সারাদেশে এটি কার্যকরে পুলিশ তৎপর রয়েছে। তবে সর্বাত্মক লকডাউনেও ঘরের বাইরে অনেক মানুষকে বের হতে দেখা গেছে। ​শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শেওড়াপাড়া, শ্যামলি ও শাহবাগ ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে। এসব চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তার বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। জরুরিসেবার সেবার জন্য যারা বরে হয়েছেন তাদের চেকপোস্ট পার হবার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে অযথা বের হবার কারণে অনেককেই ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে প্রিন্ট কপি বা মোবাইলে মুভেমন্ট পাসে দেখিয়ে অনেককেই চলাচল করছেন।

গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও প্রাইভেট কারে চলাচল বেশি। রাস্তায় সিএনজি ও রিকশার সংখ্যাও বেড়েছে। রমজানের শুরুর দিনে কঠোর লকডাউনে বাড়ির বাইরে বের হলেই পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তাই নানা ছুঁতোয় ঘর থেকে বের হয়ে পার পাচ্ছে না কেউ।

এছাড়া সর্বাত্মক লকডাউনে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে ‘মুভমেন্ট পাস’ দিতে পুলিশ মঙ্গলবার বিশেষ অ্যাপ চালু করেছে। প্রথম দিনে এই পাস দেয়া হয়েছে ৩০ হাজার মানুষকে।

সরকারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন—কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুত্, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডাকসেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন—এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।

ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার ইত্যাদি অতি জরুরি প্রয়োজনীয় কাজে বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় এর আগে গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত লকডাউন বা বিধিনিষেধ ছিল। তবে গণপরিবহন, মার্কেট খোলা রেখে এই লকডাউন ছিল অনেকটাই অকার্যকর। এরপরই স্বাস্থ্যবিষয়ক কমিটির পরামর্শ মেনে সর্বাত্মক লকডাউন জারি করল সরকার।