রোববার জারি করা নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এই বিধিনিষেধ চলবে ১৭ মে থেকে ২৩ মে মধ্যরাত পর্যন্ত। এর আগে গতকাল শনিবার বিধিনিষেধ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।
চলমান বিধিনিষেধের বর্ধিত মেয়াদেও জেলার মধ্যে বাস চলবে। আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আর আগের মতো বন্ধ থাকবে ট্রেন এবং লঞ্চ।
আগের মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমল ও দোকান সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। খোলা থাকবে শিল্প-কারখানাও। এছাড়া জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া যথারীতি সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। কিন্তু সীমিত পরিসরে ব্যাংকে লেনদেন হবে।
প্রজ্ঞাপনে আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের সাথে নতুন দুটি শর্ত যুক্ত করা হয়েছে।
সরকারি রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল দপ্তর বা সংস্থাগুলো সরকারি জরুরি পরিষেবার আওতাভুক্ত হবে এবং খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো কেবল খাদ্য বিক্রয় বা সরবরাহ করতে পারবে।
এর আগে, শনিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় ও ভারতের অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে বিধিনিষেধ বাড়ানো হচ্ছে। এখন যেমনভাবে বিধিনিষেধ চলছে, তেমনভাবে আরও এক সপ্তাহ বিধিনিষেধ বাড়ানোর পক্ষে সরকার। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে গত ৫ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের লকডাউন শুরু হয়। এরপর দুইদিন বিরতির পর আবার গত ১৪ এপ্রিল থেকে ৮ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা দেয় সরকার। সেই মেয়াদ শেষ হয় গত ২১ এপ্রিল মধ্যরাতে।
তবে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় লকডাউনের মেয়াদ ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সেটা আবার বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত। পরে আবারও লকডাউন বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই মেয়াদ শেষ হবে আজ রোববার মধ্যরাতে।